বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১২

শক্তিশালী ব্রেইনের জন্য



ব্রেইন আমাদের দেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। কিন্তু কখনো কি আমরা ব্রেইনের যত্ন নেয়ার কথা ভেবেছি!শুধু অভিযোগ করে যাই "আমার মাথা ঠিকমত কাজ করছে না বা আজকাল আমার কিছুই মনে থাকে না!"অন্যান্য অঙ্গের মত ব্রেইনেরও খাবার, পুষ্টি ও এর্নাজী দরকার।টোটাল বডি এর্নাজীর ২০% ব্রেইন ব্যবহার করে।
তাই আমাদের দৈনিক খাবার মেনু এমন হওয়া উচিত,যেন তা ব্রেইনের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও এর্নাজী সরবরাহ করতে পারে।

যে খাবারগুলো রাখতে হবে ডায়েট চার্টে:

১.স্বাস্থ্যকর ফ্যাট- যা ব্রেইন গঠন করবে:
স্বাস্থ্যকর ফ্যাট হল ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড যা ব্রেইনের মেরামত ও নতুন কোষ তৈরীতে সাহায্য করে।এছাড়া এগুলো আপনাকে নতুন কিছু শিখতে আগ্রহী করে এবং মানসিক ভাবে ভাল অনুভব করায়।oleic acid ব্রেইনকে ক্ষীপ্র করে।Olive oil, peanut oil থেকে oleic acid পাওয়া যায়।

২.Antioxidants- যা ব্রেইনকে সুরক্ষা দেয়:
খাবারে Antioxidants এর অভাব থাকলে বয়স বাড়ার সাথে সাথে স্মৃতি শক্তি কমতে থাকে।তাই Antioxidants সমৃদ্ধ খাবারের দিকে নজর দিতে হবে। Antioxidants এর ভাল উৎস হল-সবুজ চা, ব্লুবেরী ও অন্যান্য বেরী জাতীয় ফল, লাল আঙ্গুর, টমেটো,গাজর,রসুন,পালং শাক,whole grains ও সয়া দ্রব্য।

৩.ভিটামিন ও মিনারেলস- ব্রেইনের গঠনকারী ইট:
সুনির্দিষ্ট কিছু ভিটামিন ও মিনারেলস ব্রেইনের গঠনে খুবই প্রয়োজন।ব্রেইনের কাজের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন হল- Vitamins C, B12, and B6।
মিনারেলসের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল-ক্যালসিয়াম ও আয়রন।এসব ভিটামিন ও মিনারেলস নিয়মিত খেতে হবে।

৪.আশঁ - যা ফুয়েল সরবরাহকে নিয়ন্ত্রণ করে:
ব্রেইন শুধুমাত্র গ্লুকোজ থেকেই শক্তি নিতে পারে। রক্তে এই গ্লুকোজের সরবরাহ ধীর ও নিয়মিত রাখতে সাহায্য করে আশঁ জাতীয় খাবার।ভাল পরিমানে আশঁ পাওয়া যাবে :শুষ্ক ফল (কিছমিছ, খেজুর,কালো কিছমিছ), বিভিন্ন রকমের শাক,সবজি,আস্ত ফল (যেমন-আপেল,কমলা,নাসপতি) whole wheat grains (বার্লি, লাল চাল,বিভিন্ন ধরনের whole wheat pastas and cereals)।

৫.পানি- আদ্র রাখবে ব্রেইনকে:
সামান্য পানিশূন্যতাও মানসিক শক্তি কমিয়ে দেয় এবং স্মৃতিশক্তির উপর প্রভাব ফেলে। তাই কমপক্ষে ২.৫-৩ লিটার পানি দৈনিক পান করা উচিত।

৬.কার্বোহাইড্রেট প্রয়োজন:
কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার serotonin এর লেভেল ঠিক রাখে।ঘুমের ধরন, মুড,appetite ইত্যাদি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্রেইনের কোষ serotonin ব্যবহার করে।
এছাড়া অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছাও নিয়ন্ত্রণ করে serotonin। তাই জটিল কার্বোহাইড্রেট খেতে হবে।

৭.প্রয়োজন নিয়মিত গ্লুকোজ সরবরাহ:
আগেই বলেছি,ব্রেইন শুধুমাত্র গ্লুকোজ থেকেই শক্তি নিতে পারে।আর নিয়মিত খাবার গ্রহন না করলে রক্তে গ্লুকোজ লেভেল কমে যায়। এর ফলে মেমোরী লস হতে পারে। তাই দেখা যায় যারা সকালের নাস্তা বাদ দেয় তাদের স্মৃতি শক্তি দূর্বল হয়।খুব তাড়াতাড়ি গ্লুকোজ পাওয়া যাবে আস্ত ফল থেকে, যেমন- আপেল, কমলা, আঙ্গুর ইত্যাদি।

৮.সীম (Fava Beans):
সীমে খুব ভাল পরিমানে আছে levodopa , আমাদের ব্রেইন levodopa কে dopamine এ রুপান্তরিত করে। dopamine ব্রেইনের বিশেষ কিছু কাজ (concentration, motivation ও movement) নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজন হয়।

৯.Herbs:
Herbs খাবারের স্বাদই শুধু বাড়ায় না, আমাদের চিন্তা-ভাবনায়ও বিশেষ প্রভাব ফেলে।Herbs স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, মানসিক দক্ষতা বাড়ায়,মনোযগ বাড়ায়,মানসিক সতর্কতা বাড়ায়।

১০.মাছ:
প্রোটিন হল neurotransmitters তৈরীর জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। আর neurotransmitters mental performance এর জন্য প্রয়োজন।মাছ হল প্রোটিনের খুবই ভাল উৎস। এছাড়া মাছে আছে essential oils যা ব্রেইনের বর্ধন,সুরক্ষা ও কাজের জন্য প্রয়োজন।

১১.বিভিন্ন রকমের বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার ,ফুলকপি, ব্রোকলী,বাধাকপি ব্রেইনের জন্য খুবই উপকারী।

ব্রেইনের যত্ন নিন,পুষ্টি যোগান । ব্রেইনও আপনাকে দরকারের সময় প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে।


Source: http://www.sasthabangla.com/know-yourself/tips/health-tips/448-for-strong-memory#ixzz1ptnkqalg
Under Creative Commons License: Attribution No Derivatives


ফিটনেস : অ্যারোবিক এক্সারসাইজ




যে কোনো বিষয়য়েই অনুশীলন একটি পজেটিভ বিষয়। আর শরীর-মন ভালো রাখতে শরীরেও অনুশীলন প্রয়োজন। সুস্থ থাকতে খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত অনুশীলনের বিকল্প কিছু নেই। অনেক সময়ই হয়তো বাইরে জিমে যাওয়া সম্ভব হয়ে ওঠে না। তাই বাড়িতে বসেই করার মতো কিছু অনুশীলন বা এক্সারসাইজ নিয়ে আজকের আলোচনা।
অ্যারোবিক শব্দের অর্থ ‘উইথ অক্সিজেন’ অ্যারোবিক ওয়ার্ক-আউটের ফলে শরীরে, অক্সিজেনের পরিমাণ বাড়ে, হার্ট, ফুসফুস, ব্লাড ভেসেল অথাৎ সমগ্র কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেম ভালো রাখে। অ্যারোবিক এক্সারসাইজ মূলত শরীরের বড় মাংসগুলোকে টার্গেট করে। নিয়মিত এক্সারসাইজে হার্টবিটে রক্ত পাম্প করতে পারে। ফলে শরীরের টিসুতে বেশি পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছে সহজেই। এতে ফিটনেস লেভেল বেড়ে যায়। আর তার জন্য হাঁপানি ছাড়াই অনেকক্ষণ এক্সারসাইজ করতে পারেন।
অ্যারোবিক এক্সারসাইজ করতে পারেন যারা
অ্যারোবিক এক্সারসাইজ মোটামুটি সবাই করতে পারেন। তবে যাদের বয়স ৪০-এর ঊর্ধ্বে তারা এক্সারসাইজের আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিন। ডায়াবেটিস, হার্টের অসুখ, হাই ব্লাডপ্রেশার বা যে কোনো শারীরিক সমস্যায় ভুগছেন কিংবা ওবেসিটিতে ভোগার কারণে দীর্ঘদিন ইন-অ্যাক্টিভ ছিলেন তারাও এক্সারসাইজের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে নিতে পারেন। অবশ্য দেখা গিয়েছে যে, ডায়াবেটিস, ওবেসিটি, আর্থ্রাইটিস, প্রিমেসস্টুয়াল সিন্ড্রোম বা হার্টের রোগে ভুগছেন তারা অ্যারোবিক এক্সারসাইজে অনেক উপকৃত হয়েছেন।
কয়েকটি অ্যারোবিক এক্সারসাইজ
প্রচুর ধরনের অ্যাক্টিভিটি এই ওয়ার্ক-আউটের মধ্যে পড়ে। তবে সবচেয়ে সাদামাটা কিংবা সহজ অ্যারোবিক হলো হাঁটা। এ ছাড়া সাইকেল চালানো, দৌড়ানো, স্কিপিং, রোলার স্কেটিং, বাস্কেটবল খেলাও এর অন্তর্ভুক্ত।
হাঁটা: যারা সদ্য এক্সারসাইজ শুরু করেছেন বা যাদের মূল লক্ষ্য অতিরিক্ত ওজন কমানো, তাদের ক্ষেত্রে হাঁটার কোনো বিকল্প নেই। তবে এক্ষেত্রে ধৈর্র্য ধরতে হবে। আস্তে আস্তে হাঁটার সঙ্গে জগিংও আরম্ভ করতে হবে। জগিং হাঁটার চাইতে বেশি ইনটেন্স তাই তাড়াতাড়ি ক্যালরি বার্ন করতে সাহায্য করে।
সাইকেল চালানো: (আউটডোর বা স্টেশনারি) যারা অ্যাক্টিভ থাকতে পছন্দ করেন বা খেলাধুলায় রুচি রাখেন, তাদের জন্য সাইকেল চালানো খুব ভালো এক্সসারাইজ।
জগিং বা দৌড়ানো: যারা বাড়ির বাইরে এক্সারসাইজ করতে পছন্দ করেন তারা জগিং করতে পারেন নিশ্চিন্তে। জগিং করার জন্য ভোর বা সন্ধ্যাবেলা সবচাইতে ভালো সময়। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে, অ্যারোবিক এক্সারসাইজের মধ্যে জগিং সবচেয়ে ভালো এক্সারসাইজ। কেননা এতে অতিরিক্ত মেদ কমানোর সম্ভাবনা বেশি থাকে।


Source: http://www.sasthabangla.com/know-yourself/tips/fitness-tips/417-aerobic-exercise#ixzz1ptnIWYAQ
Under Creative Commons License: Attribution No Derivatives

শারীরিক মিলনের নানা দিক


ভালোবাসা প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ দিক শারীরিক মিলন৷ আবার শারীরিক প্রয়োজনীয়তার একপ্রকার বহিঃপ্রকাশ সেক্স্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি৷ কিন্তু আপনি জানেন কি শারীরিক চাহিদা বা ভালোবাসা প্রকাশের দিক ছাড়াও এর অনেক গুণ আছে যার ফলে আপনার ব্যক্তিজীবন আনন্দে ভরপুর হয়ে উঠতে পারে—
* ভালো ব্যায়াম : শারীরিক মিলনের সময়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ যেভাবে সঞ্চালিত হয় তার মাধ্যমে ব্যয়াম কার্য খুব ভালো ভাবে সম্পাদিত হয়৷ এর দ্বারা প্রচুর ক্যালোরি খরচ হয়, ফলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম হয়, রক্তপ্রবাহ ভালো হয়, শারীরিক মিলন কার্যে আপনি 30 মিনিট লিপ্ত থাকলে আপনার 85 ক্যালোরি খরচ হয়৷ আপনি এক সপ্তাহ নিয়মিত হাঁটা-চলা করলে যে পরিমান ক্যালোরি খরচ হয়, সপ্তাহে তিন দিন নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হলে আপনার সেই পরিমান ক্যালোরি খরচ হবে৷ সারা বছর নিয়মিত রূপে শারীরিক মিলনে লিপ্ত হতে পারলে 75 মাইল জগিং করার সমান ক্যালোরি আপনার শরীর থেকে নির্গত হবে৷
* রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাঁড়ায় : রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ক্ষেত্রে অর্থাত আমাদের ইমিয়্যুন সিস্টেম ঠিক রাখতে সাহায্য করে আমদের শারীরিক মিলন প্রক্রিয়া৷ রোগ প্রতিরোধের ক্ষেত্রে এটি থেরাপির মত কাজ করে, এর মাধ্যমে পাচন কার্য ঠিক হওয়ার ফলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা সুদৃঢ় হয়৷
* জীবন কাল বাড়ে : নিয়মিত সেক্স্যুয়াল অ্যাক্টিভিটি আপনার আয়ু বাঁড়ায়৷ এর মাধ্যমে শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং সব তন্ত্র খুব ভালো ভাবে কাজ করে৷ কারণ শারীরিক কার্যকলাপ শরীরের বিভিন্ন কোষের মধ্যে অক্সিজেনের মাত্রা বৃদ্ধি করে বিভিন্ন অঙ্গগুলিকে সচল রাখতে সাহায্য করে৷ একদিকে যেখানে সেক্স্যুয়াল অ্যক্টিভিটির দ্বারা শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা সঠিক থাকে তেমনি কোলেস্টেরলের মাত্রা ধীরে ধীরে কমতে থাকে৷ সপ্তাহের তিন বার বা তার থেকে বেশী বার শারীরিক মিলন হার্টঅ্যাটাকের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়৷
* ব্যাথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় : বিভিন্ন অধ্যয়নের দ্বারা জানা গেছে শারীরিক মিলনের ফলে মাথা এবং হাড়ের জয়েণ্টের ব্যাথার ক্ষেত্রে আরাম পাওয়া যায়৷ ওর্গাজমের আগে অক্সিটোসিন হর্মোনের স্তর সামান্য থেকে পাঁচ গুন বেঁড়ে যাওয়ায় এণ্ড্রোফিন হর্মোন নিংসৃত হতে থাকার ফলে মাথা ব্যাথা, মাইগ্রেন আর আর্থারাইটিসএর ব্যাথা থেকে আরাম পাওয়া যায়৷ তাই ব্যাথা কমানোর ওষুধ না খেয়ে শারীরিক মিলনের আনন্দ উপভোগ করুন আর ব্যাথা থেকে নিষ্কৃতি পান৷
* পিরিয়ডের সময় ব্যাথা কম হয় : যে সব মহিলাদের সেক্স্যুয়াল লাইফ খুব ভালো হয় তাদের পিরিয়ডের ক্ষেত্রে সমস্যা কম হয়৷ সাধারণতঃ পিরিয়ডের সময় মহিলাদের খুব বেশী ব্যাথা হযে থাকে৷ যাদের সেক্স্যুয়াল লাইফে কোন প্রকার অসুবিধা থাকে না তাদের এই সময়ে ব্যাথার অনুভুতি কম হয়৷ আর শরীরিক মিলনের দিক ঠিক থাকলে পিরিয়ডের আগে মহিলাদের মধ্যে অনেক সময় যে সমস্যা দেখা যায় তাও থাকে না৷
* মানসিক অশান্তি থেকে মুক্তি : মানসিক প্রশান্তি আনার দিক থেকে নিয়মিত শারীরিক মিলনের অভ্যাস সবথেকে ভালো৷ কারণ শারীরিক মিলনের ফলে মন উত্ফুল্ল থাকে ফলে মানসিক অশান্তি কম হয়৷
* ভালোবাসা বাড়ে : শারীরিক মিলনের আকর্ষনের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব কম হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মনে খুশী সঞ্চারিত হয়৷ মনের উদাসিনতা দূর করতে এই কার্যকারীতা ভীষণ জরূরী৷ মানসিক দিক থেকে বিরক্তির নানা কারণ শারীরিক মিলনের ফলে দূর হয়ে যায়৷ এই সান্নিধ্যের ফলে সঙ্গীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো হয় এবং দুজনের মধ্যে ভালোবাসা বাড়ে৷ যে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক উন্নতমানের তারা তাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোন সমস্যায় পড়লে তার সমাধান একসঙ্গে করতে পারেন৷
* কাজ করার ক্ষমতা বাড়ে : শারীরিক মিলনের সময় হরমোন নিঃসরণ হয় তাই মন শান্ত থাকে আর নিরন্তর কাজের ক্ষমতা বাড়তে থাকে৷ নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তির যৌবন অনেক দিন পর্যন্ত বর্তমান থাকে৷ এর মাধ্যমে ফিটনেস লেবেল বাড়ে৷ শারীরিক মিলনের ফলে ব্যক্তি সারাদিন স্ফুর্তি অনুভব করে৷ সারাদিনের কাজে এই স্ফুর্তির প্রভাব দেখা যায়৷ এর দ্বারা সারাদিনের ক্লান্তি থেকে এবং নানা রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়৷
* ভালো ঘুম হয় : শারীরিক মিলনের ফলে অক্সিটোসিন হরমোন রিলিজ হয়, ফলে মিলনের পরে ঘুমও খুব ভালো হয়৷ তাই যাদের ঘুমের ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা আছে তারা অতি অবশ্যই এই পদ্ধতি অবলম্বন করে দেখতে পারেন৷
* আত্মবিশ্বাস বাড়ে : শারীরিক মিনলের ফলে ব্যক্তির মনে স্বকারাত্মক চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ে৷ তার ভেতর কার সন্তুষ্টি তার মানসিক প্রশান্তি তার মধ্যে আত্মবিশ্বাসের পরিমান বাড়িয়ে তোলে৷
* ওজন কমে : শারীরিক মিলনের ফলে প্রচুর পরিমান ক্যালোরি কম হয় তার ফলে ব্যক্তির ওজন কম হয়৷ নিয়মিত ভাবে শারীরিক মিলনের ফলে পেটের স্থূলতা কম হয়, আর মাংসপেশীতে জড়তা কম দেখা যায়৷
* সৌন্দর্য্য বাড়ে : শারীরিক মিলন কালে হরমোন নিঃসরনের ফলে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যাওয়াতে তার প্রভাব পড়ে ত্বকের ওপরে৷ তার ফলে সৌন্দর্য্য বেড়ে ওঠে৷ আপনার সারা শরীরের মাদকতা আপনার মধ্যে গ্লো আনে৷ শারীরিক মিলন কালে মহিলাদের শরীর থেকে এস্ট্রোজেন হরমোন নিংসৃত হতে থাকে, যার দ্বারা তাদের চুল এবং ত্বক আকর্ষনীয় হয়ে ওঠে৷
* ভালো ত্বক : শারীরিক মিলনের সময় সারা শরীরে একপ্রকার ম্যাসাজ চলে তার দ্বারা রিল্যাক্সেশনের ফলে শরীরে কোন প্রকার দাগ থাকে না বা তা ধীরে ধীরে লুপ্ত হতে থাকে৷
* প্রোস্টেটে ক্যান্সার প্রবণতা কম হয় : নিয়মিত শারীরিক মিলনের ফলে প্রোস্টেটে ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়৷
* হাপানি বা জ্বর থেকে মুক্তি : শারীরিক মিলনকে ন্যাচারাল অ্যাণ্টি হিস্টামাইন রূপে দেখা হয়৷ এর দ্বারা নাক বন্ধ থাকলে তা খুলে যায়৷ আর যাদের ফুসফুসের সমস্যা বা জ্বর হয় তাদের সমস্যার সমাধানও হয়ে থাকে৷
* কার্ডিওভাস্কুলার এর ক্ষেত্রে উন্নতি : মহিলারা শারীরিক মিলনের সময় উত্তেজিত হয়ে উঠলে তাদের হার্টের গতি বেড়ে যায়, ফলে তাদের কার্ডিওভাস্কুলার এর সমস্যার সমাধান হয়ে থাকে৷
* বিস্বস্ত তা বাড়ে : স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে শারীরিক মিলনের বোঝা পড়া ঠিক থাকলে তার একে ওপরকে কখনও ঠকায় না৷ তাদের ঘনিষ্ঠতা তাদের এমন কাজ করতে দেয় না৷
* রক্তের প্রবাহ বৃদ্ধি পায় : শারীরিক মিলনের সময় ব্যক্তির উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে তার সারা শরীরে রক্তপ্রবাহের মাত্রা বেড়ে যায়৷ এর ফলে সারা শরীরের প্রতিটি কোষে সঠিক মাত্রায় অক্সিজেন পৌঁছায়


Source: http://www.sasthabangla.com/know-yourself/tips/sex-tips/269-sexual-relationship#ixzz1ptmtMBOD
Under Creative Commons License: Attribution No Derivatives

কোমল পানীয় থেকে বিরত থাকুন

প্রতিদিন চিনির পরিমাণ বেশিযুক্ত কোমল পানীয় পান করলে হৃদরোগের ঝুঁকি নাটকীয়ভাবে বেড়ে যায় বলে একটি গবেষণায় দেখা গেছে।

প্রায় ৪০ হাজার মানুষের ওপর ওই গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সেখানে দেখা গেছে, যারা প্রতিদিন চিনির পরিমাণ বেশি এমন ধরণের কোমল পানীয় পান করেন তাদের হার্ট এটাকের সম্ভাবনা স্বাভাবিকের তুলনায় ২০ গুণ বেড়ে যায়। 

গবেষক লরেন্স ডি কোনিং বলেন, কোমল পানীয় বেশি পান করলে মানুষের শরীরে স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি চর্বি জমে। কেননা কোমল পানীয়তে চিনির আধিক্য থাকায় শরীর তা বেশি বেশি গ্রহণ করে। আর অতিরিক্ত চিনি হার্টের জন্য ক্ষতিকর তা আমাদের সবারই জানা।

এই পরীক্ষায় দেখা গেছে যে, সাধারণত চিনিযুক্ত পানীয় (দুধ, চা, চিনি, মদ, অন্যান্য কোমল পানীয়) অধিকহারে গ্রহণের প্রবণতা যাদের থাকে তাদের রক্তে চর্বি ও প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে যায়। যা হৃদরোগের জন্য অন্যতম দায়ী।

‘সার্কুলেশন’ জার্নালে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে জানা যায়, যারা প্রতিদিন এসব পানীয় পান করেন তাদের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করে দেখা গেছে যে, সেখানে কোলেস্ট্রলের মাত্রা বেশি। 

এছাড়া এর আগেও বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে, শর্করা যুক্ত কোমল পানীয় ডায়াবেটিস এবং ওজন বাড়ানোর সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত।

আকুপ্রেসার : ওষুধের বিকল্প চিকিৎসা পদ্ধতি



ইসমাইল হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

শরীরের অঙ্গগুলোকে সচল রাখতে পারলেই সুস্থ থাকবে মানবদেহ। আর এর জন্য প্রয়োজন খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখা এবং নিয়মিত কিছু শারীরিক অনুশীলন। এক্ষেত্রে আকুথেরাপি হয়ে উঠতে পারে ওষুধের বিকল্প উপযুক্ত চিকিৎসা পদ্ধতি।

আকুথেরাপিস্টদের মতে, কেবল এ পদ্ধতি অবলম্বনের মাধ্যমে মানবদেহের শতকরা ৮০ ভাগ রোগ নিরাময় সম্ভব। অর্থ খরচ কমানোর পাশাপাশি অনেক জটিল রোগের হাত থেকেও মুক্তি মিলতে পারে।

শনিবার সকালে অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম এর স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে এক কর্মশালায় দেশের বিশিষ্ট আকুথেরাপিস্টরা এসব তথ্য জানান। 

ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপের কনফারেন্স কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। 

`আপনার স্বাস্থ্য আপনার হাতে` শীর্ষক এ কর্মশালায় দেশের আকুথেরাপিস্ট আলাউদ্দিন বিশ্বাস, রুহুল আমীন, সিরাজুল মুনীর, আলমগীর আলম ও ফারুক হোসেন উপস্থিত ছিলেন। 

কর্মশালার প্রথম পর্বে ওষুধের বিকল্প এ চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। 

আকুথেরাপিস্টরা বলেন, মানবদেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ আরেকটি অঙ্গের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত। এই অঙ্গগুলো ঠিকমতো সচল রাখতে পারলে শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ থাকবে। 

তারা বলেন, আকুথেরাপি হল শরীরের ব্যবহারিক বিষয়। মানবদেহের রোগ নির্ণয়, রোগ নিরাময় এবং রোগ প্রতিরোধ বাড়ানোর জন্য প্রয়োজন আকুথেরাপি। শরীরে সুচের মতো চাপ প্রয়োগ করে আকুথেরাপি দেওয়া হয়। 

আকুথেরাপিস্টদের মতে, মানবদেহ হল সুপার কম্পিউটার। কম্পিউটার যেমন কমান্ড ছাড়া কাজ করে না। ঠিক তেমনি দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ কমান্ডের মাধ্যমে কাজ করে। আর মানবদেহের হাত ও পায়ের তালুর সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সম্পর্ক বিদ্যমান। এক্ষেত্রে হাত এবং পায়ের তালুতে সামান্য চাপ প্রয়োগ করে সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালনের মাধ্যমে কিডনির সমস্যা, ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, কোমর ব্যথা, মাথা ব্যথা, ঘাড় ব্যথাসহ বিভিন্ন হাইপার টেনশনজনিত রোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এমনকি ক্যান্সার থেকেও মুক্তি দিতে পারে আকুথেরাপি। 

তবে এই অনুশীলন নিয়মিত ও ঠিকমতো করতে হবে।   

আকুথেরাপিস্টরা বলেন, খাদ্যগ্রহণ এবং লাইফ স্টাইল ঠিক রাখার মধ্য দিয়ে শরীর সম্পূর্ণ সুস্থ রাখা যায়। খাদ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে শরীরে জৈব শক্তি অর্থাৎ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। এই জৈব শক্তি শরীরে শক্তি জোগায়। 

উদাহরণ হিসেবে তারা বলেন, যে কোনো কঠিন খাদ্য একটু চিবিয়ে খেলে তাতে মুখের লালা মিশ্রিত হয়। এতে খাদ্য দ্রুত হজম হবে। 

এছাড়া সঠিকভাবে রক্ত সঞ্চালন হলে শরীরের ভারসাম্য বজায় থাকবে। তাতে রোগ বালাই থেকেও রক্ষা পাওয়া যাবে। এর জন্য প্রয়োজন লাইফ স্টাইল ঠিক রাখা। হাত-পায়ের ছোটখাট কিছু ব্যায়াম হতে পারে শরীরে ভারসাম্য রক্ষা এবং রোগ প্রতিরোধের সবচেয়ে বড় উপায়। 

সংশ্লিষ্টরা জানান, আকুথেরাপি বর্তমানে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে। পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে অ্যান্টিবায়োটিকের মতো ওষুধের ব্যবহার অনেক কমে গেছে। তারা এখন আকুথেরাপির দিকেই মনোনিবেশ করছেন। 

কর্মশালায় উপস্থিত আকুথেরাপিস্টরা জানান, বাংলাদেশে ২০০৩ সাল থেকে আকুথেরাপির বিষয়ে কাজ করছেন তারা। তাদের প্রচেষ্টায় ‘সুচিকিৎসা জনকল্যাণ ফাউন্ডেশন’ নামে একটি সংগঠনও গড়ে উঠেছে। 

ফাইন্ডেশনের সভাপতি রুহুল আমীন বলেন, ‘জীবন ধারার সঙ্গে শরীর কিভাবে সুস্থ রাখা যায় আকুথেরাপি তারই একটা পদ্ধতি মাত্র। আকুথেরাপি মানবদেহের রোগ নিরাময়ে শরীরকে সাহায্য করে এবং অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ও অনালগ্রন্থি যথাযথ সক্রিয় রাখে। যার ফলে আমরা নিখুঁত স্বাস্থ্যের অধিকারী হই।’

তিনি বলেন, লাইফ স্টাইল এবং খাদ্য গ্রহণ পদ্ধতি ঠিক থাকলে শরীর শতভাগ সুস্থ রাখা সম্ভব। 

ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন বিশ্বাস বলেন, ‘আজীবন শরীর সুস্থ রাখতে হলে আকুপ্রেসার দরকার। এর মাধ্যমে শরীরের ৮০ ভাগ রোগ নিরাময় সম্ভব।’

বর্তমানে এই চিকিৎসা পদ্ধতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি এটাকে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে বলে মন্তব্য করেন।  

কর্মশালায় অংশ গ্রহণকারীদের শারীরিক বিভিন্ন কসরতের মাধ্যমে তাৎক্ষণিক কিছু সমস্যারও সমাধান পাওয়া যায়।

পরে বাংলানিউজের পাঠকদের পাঠানো নানা প্রশ্নের উত্তর প্রদান পর্ব পরিচালনা করা হয়। 

কর্মশালায় বাংলানিউজের হেড অব নিউজ মাহমুদ মেনন খান, কান্ট্রি এডিটর সাইফুল ইসলাম, হেলথ এডিটর তানিয়া আফরিন, কালচারাল এডিটর রবাব রসাঁ, লাইফ স্টাইল এডিটর শারমীনা ইসলাম ছাড়াও সংবাদ মাধ্যমটির বিভিন্ন সেকশনের কর্মীরা অংশ নেন।